• English
  • ৳ BDT

01886221100 Customer Support

Sign In

করোনার ঝুঁকি কমাতে ডায়াবেটিস রোগীরা যা করবেন

Posted by : admin / On : 2022-01-12 17:10:25 / In : Glucometer

করোনার ঝুঁকি কমাতে ডায়াবেটিস রোগীরা যা করবেন

সারা পৃথিবী করোনাভাইরাসের মহামারিতে আক্রান্ত।

করোনা সংক্রমণের ৮০ শতাংশই মৃদু বা মাইল্ড ধরনের, যা এমনিতেই সেরে যায়। ১৫ শতাংশ তীব্র বা সিভিয়ার ধরনের হতে পারে, যেখানে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। আর ৫ শতাংশ ক্রিটিক্যাল, যেখানে ভেন্টিলেটর দরকার হতে পারে, এমনকি রেসপিরেটরি ফেইলিউর হয়ে মৃত্যুও হতে পারে।

করোনা সংক্রমণে যাঁরা বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ, তাঁরা হলেন ডায়াবেটিস রোগী, হার্ট ফেইলিউরের রোগী, কিডনি ফেইলিউরের রোগী, হাঁপানি বা ক্রনিক ব্রংকাইটিসের রোগী। এ ছাড়া আছেন যাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, যেমন কেমোথেরাপি নেওয়া রোগী ইত্যাদি।

ডায়াবেটিস রোগীরা কেন ঝুঁকিতে

আমাদের দেশে ডায়াবেটিসের রোগীর সংখ্যা অনেক। বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের অনেকেরই ডায়াবেটিস আছে। তার ওপর আমাদের ডায়াবেটিসের রোগীদের একটি বিরাট অংশের রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ডায়াবেটিসের কারণে রোগীদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। যেকোনো জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করার সক্ষমতা হ্রাস পায়। আবার ডায়াবেটিসের রোগীদের একই সঙ্গে কিডনি জটিলতা, হৃদ্‌রোগ ইত্যাদি থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের বড় ধরনের ঝুঁকি আছে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ক্ষেত্রে।

ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মাত্রা (এইচবিএওয়ানসি) এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যাঁর ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণ যত খারাপ (এইচবিএওয়ানসি যত বেশি), তাঁর ঝুঁকি তত বেশি। বাংলাদেশের প্রায় ৮০ শতাংশ ডায়াবেটিসের রোগীর রক্তের শর্করা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। রক্তে এইচবিএওয়ানসির মাত্রা ৭ শতাংশের বেশি হওয়া মানে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে ডায়াবেটিসের রোগীদের একটু বেশি সচেতন হওয়া জরুরি।

করোনাভাইরাস মহামারিতে ডায়াবেটিস রোগীর করণীয়

  1. করোনাভাইরাস সংক্রমণের সামান্যতম লক্ষণ দেখা দিলেও (যেমন, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি) সরকার নির্দেশিত কেন্দ্রগুলোতে রোগ শনাক্তকরণ ও পরবর্তী সেবার জন্য দ্রুত সাহায্য নিতে হবে। ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে যত দ্রুত সম্ভব।
  2. বর্তমান পরিস্থিতিতে বিন্দুমাত্র কালক্ষেপণ না করে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে ইনসুলিন শুরু করতে হবে। ইনসুলিন দ্রুততম সময়ের মধ্যে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। খালি পেটে শর্করা ৬ মিলিমোলের কম আর খাবার দুই ঘণ্টা পরে ৮ মিলিমোলের কম মাত্রায় নিয়ে আসতে হ
  3. যদি উপসর্গ দেখা দেয়, করোনা নিশ্চিত না হলেও, নিজেকে আলাদা করতে হবে। অর্থাৎ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। শরীর বেশি খারাপ না হলে হাসপাতালে না যাওয়াই ভালো। তবে চিকিৎসকের সঙ্গে বা সেবাকেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে প্রয়োজনে চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায় দ্রুত।
  4. এই সময়, যাঁদের বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁরা নিজেরা কোয়ারেন্টিনে থাকুন। বাজার, শপিং মল, জনবহুল জায়গা, সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলতে হবে। বাড়িতে থেকে করোনা প্রতিরোধের নির্দেশগুলো মেনে চলতে হবে। বাইরের কারও সঙ্গে হাত মেলানো যাবে না, কোলাকুলি করা যাবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে যে কারও থেকে অন্তত তিন ফুট দূরত্বে থাকতে হবে।
  5. এ সময় পার্কে বা বাইরে হাঁটতে যাওয়ার দরকার নেই। শর্করা নিয়ন্ত্রণে বাড়িতে, বারান্দায় বা করিডরে হাঁটতে হবে এবং হালকা ব্যায়াম করতে হবে।
  6. কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়াসহ ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। টাকাপয়সা, খবরের কাগজ, পার্সেল ইত্যাদি জিনিস স্পর্শ করলে হাত ধুয়ে নিতে হবে। কাপড় লন্ড্রিতে ইস্ত্রি করতে না দিয়ে বাড়িতেই ধুয়ে পরতে হবে।
  7. বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলে প্রথমেই বয়স্ক আর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা করে ফেলতে হবে।
  8. বাইরে থেকে আনা কোনো খাবার না খাওয়া ভালো হবে।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

Recent Posts

শিশুর মাস্ক ব্যবহারের কৌশল
Oxygen mask
NTI Nebulizer Mask
NTI Nippon Blood Pressure Monitor Type Wrist

Categories

  • Alcohol Pad
  • Bp Machine
  • Blood Bag
  • Blood Set
  • Strip
  • Glucometer
  • Hot Water Bag
  • Lancet
  • Nebulizer
  • Thermometer
  • NTI Healthcare
  • Mask
  • Weight Machine